Wednesday, February 24, 2016

আইনকে জানুন এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন: মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

‘দেশ সেবার এক মহান দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী। অন্য বাহিনীর চেয়ে অনেক পরিশ্রমী আর দেশের জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি কাজ করে। তবে এদেশে অসৎ পুলিশের সংখ্যা কম নয়। সারাদেশে এমন ঘটনা অনেক আছে যেখানে পুলিশ আপনার, আমার, জনগণের অনেক ক্ষতিসাধন করে। অবৈধ টাকার জন্য অনেক কিছুই করে।’বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব কথা বলেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম (সাগর)।তিনি বলেন, ‘কোন পুলিশ যদি অসৎ উদ্দেশে কাউকে ধরে তা হলে নিচের পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করবেন। প্রয়োজনে পুলিশি হয়রানির শিকার হলে কোথাও না গিয়ে সরাসরি আদালতে চলে যান। আইনানুযায়ী মামলা করে দেন। মামলা করার ফলে বরখাস্ত হবে অপরাধী পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেবে আদালত।’তিনি আরও বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই পুলিশকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। যেকোন ভাবেই যে কেউ বিনা অপরাধে অসৎ পুলিশের খপ্পরে পড়তে পারে। বিষয়টিকে সতর্কতার সাথে পরিচালনা করার মাধ্যমে অসৎ পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। অসৎ পুলিশের বিরুদ্ধে করণীয় পদক্ষেপসমূহ-
১. ইউনিফর্ম পড়া পুলিশ হলে প্রথমেই বুকে থাকা নামটি দেখে নিন। (সিভিল হলে তার নাম, র‌্যাংক, থানা বা কোন ইউনিট ইত্যাদি জেনে নিন)।
২. পুলিশের কয়েকজন বড় কর্মকর্তার নাম মুখস্থ করে রাখুন (ঐ এলাকার এসি, এডিসি ক্রাইম, ডিসি/এএসপি সার্কেল, এ্যাডিশনাল এসপি, এসপি)। আইজিপি হলে হবে না। কেননা, সবাই জানে তার নাম। পুলিশ ধরলেই জানিয়ে দিন ঐ পুলিশকে যে, ‘আমাকে বিনা কারণে কিছু করলে আমি ঐ অফিসারের কাছে আপনার/আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। লিখিত অভিযোগ।’ মৌখিকের চেয়ে লিখিত কাজ হয় ভাল। মৌখিক কথার অ্যাকশন হলো কিনা আপনি জানতে পারবেন না। তবে ইন্সট্যান্ট কাজ হবে।
৩. একান্তই কখনও কোন পুলিশের পাল্লায় পড়ে টাকা খোয়ালে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসি (জেলা শহর হলে এসপি) বরাবর অভিযোগ দাখিল করুন। আইজিপি এবং কমিশনার অফিসেও প্রেরণ করতে পারেন। একটা লিখে তার ফটোকপি পাঠান এসব জায়গায়।
৪. আপনি মেট্টোপলিটনের আওতাভুক্ত হলে সকল ডিসির নাম্বার সংরক্ষণ করুণ। মেট্টোপলিটনের বাইরে হলে এসপির নাম্বার সংরক্ষণ করুণ। নাম্বারের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ এ্যাপসটি অবশ্যই আপনার ফোনে ডাইনলোড করে নিবেন। প্রয়োজনে এসপি বা ডিসিকে সরাসরি ফোন করুণ।
৫. আপনি যদি অপরাধ না করেন, পুলিশ কর্তৃক যে কোন প্রকার নির্যাতনের স্বীকার হলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সাংবাদিকদের জানান।
৬. অপরাধ প্রবণ পুলিশদের মনোবল সব সময় কম থাকে, তাই আপনি যদি তাদের ঠিক ভাবে ম্যানেজ করতে পারেন, তারা আপনার সাথে কঠোর হওয়ার সাহস পাবে না।
৭. আপনি নিজে যদি অপরাধী না হন, কোন ভাবেই পুলিশের জেরাতে ভয় পাবেন না। যা সত্যি তাই খোলা-মেলা ভাবে বলুন। কখনও মিথ্যার আশ্রয় নিবেন না। স্মার্টলি হ্যান্ডেল করুন।
৮. সবচেয়ে বড় কথা আইনের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং নিজের উপর আস্থা রাখুন। পুলিশ দেখে কখনও ভয় পাবেন না। কেননা, পুলিশ রয়েছে আপনাকে রক্ষা করতে, আপনার ক্ষতি করতে নয়।
৯. পুলিশ ফোনে টাকা চাইলে সাথে সাথে রেকর্ড করতে করতে তার সাথে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলতে থাকুন, কত টাকা, কিভাবে দিতে হবে, কখন নেবেন, আপনার নাম কি, কোন থানা বা ফাঁড়ি, মামলা বা অভিযোগ কার বিরুদ্ধে, কে করেছে ইত্যাদি কথার মধ্যে সংযুক্ত রাখুন। ব্যস, এটা অভিযোগের সাথে জমা দিন ঐ এলাকার এসি, এডিসি ক্রাইম, ডিসি, কমিশনার অথবা এএসপি সার্কেল, এ্যাডিশনাল এসপি, এসপি বরাবর।
১০. জায়গা-জমি সংক্রান্ত কোন কিছুই পুলিশের করার কোন আইনগত অধিকার নেই (শুধু কোর্টের আদেশ পালন করতে পারবে)। তবে যদি কোন জায়গা নিয়ে শান্তি ভঙ্গের আশংকা দেখা দেয় তাহলে তারা একটি হুঁশিয়ারি নোটিশ জারি করতে পারে, থানায় আপনার জমির কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে বলতে পারে (তার সাধ্য নেই কোন রায় দেয়ার। জায়গা-জমি সম্পূর্ণ দেওয়ানি আদালতের বিষয়। পুলিশ শুধু ফৌজদারি বিষয় নিয়ে কাজ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত)। সুতরাং আপনার জায়গা নিয়ে কিছু করতে গেলে স্মার্টলি তার সাথে তার এখতিয়ার নিয়ে কথা বলুন। কোর্টের কাগজ আছে কিনা জানতে চান।
স্পেশাল স্টেপ
পুলিশ আপনার সাথে অবৈধ কিছু করলে জেলায় এসপি আর মেট্রোতে ঔ এলাকার ডিসিকে ফোন করার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করুন (ফোন করতেও পারেন ইন্সট্যান্ট ঘটনার সময়), লিখিত অভিযোগ এক কপি কমিশনারের কাছে পাঠান। একটা অভিযোগ সিকিউরিটি সেল, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা বরাবর ঔ অফিসারের বিরুদ্ধে পাঠান।
জিডি করতে গেলে অনেকেই বলতে পারেন ‘ভাই খরচ পাতি দেন’। এক টাকাও দেবেন না। পারলে ফোনের রেকর্ডার চালু করে কথা বলুন, খরচ পাতির কথা কথা বললে তাকে শুনিয়ে দিন যে তার কথা আপনার কাছে রেকর্ড করা হয়েছে এবং আপনি উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করবেন।
জিডি/অভিযোগ/মামলা কোনটা করতেই কোন টাকা লাগে না। আসল কথা হলো পুলিশের সাথে জনগণের আইনের কোথাও কোন টাকার লেনদেনের কথা নেই। পুলিশের সাথে টাকা লেনদেনটাই অবৈধ। শেষ কথা, সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। আইন জানুন।

Thursday, February 18, 2016

বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত বাড়ি ভাড়া আদায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে :মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর) ।

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন,বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত বাড়ি ভাড়া আদায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সকল  বাড়িওয়ালাদেরকে তিনি ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহনীয় পর্যায়ে ভাড়া আদায় করার আহবান জানান ।বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য অধিকতর সুষ্ঠু বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন (২) ধারা ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং ২৭ দোসরা জানুয়ারী, ১৯৯১ ইং তারিখে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু কতজন মালিকের পক্ষে এই আইন মেনে চলার বিধান রাখছেন । বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকার সত্যেও ভাড়াটিয়া কোনো সুযোগই যেন পাচ্ছে না বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে, ভাড়া নেয়া হচ্ছে বাড়ির মালিকদের খেয়াল খুশি মতো।তিনি বলেন আমাদের মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে বাসস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার । কিন্তু কিছু ব্যক্তি এই অধিকারটা নিয়ে এমন ভাবে ব্যবসা শুরু করেছে যেখানে পরিবার সহ একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করায় দুরুহু হয়ে পরেছে।ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন,নাগরিকদের জীবনধারণে অন্যান্য মৌলিক উপকরণের মতো আবাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। যে কারণে আবাসন ব্যবস্থাকে একটি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ছেড়ে না দিয়ে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণমূলক আইনি ব্যবস্থায় নেয়া প্রয়োজন।  বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাড়িওয়ালাদের স্বেচ্ছাচারিতা মূলত ঢাকায় বেশি। ঢাকায় বাড়িওয়ালাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ভাড়ার রশিদ না দেয়া, ইচ্ছেমতো ভাড়া বৃদ্ধি, জোর করে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।তিনি আরও বলেন  অগ্রিম ভাড়া, বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ কাজের খরচ, ইউটিলিটি বিল নেয়ার ক্ষেত্রেও আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না বাড়ির মালিকরা।বাড়িভাড়া এখন লাভজনক বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।  ভাড়া নেয়া হচ্ছে বাড়ির মালিকদের খেয়াল খুশি মতো। ভাড়াটিয়াদের আয়ের বড় অংশটি চলে যাচ্ছে বাড়িভাড়ায়।ভাড়ার রসিদ ও বাড়ি ছাড়ার জন্য নোটিশের কথা বলা হয়েছে আইনে।তিনি বলেন, ভাড়াটিয়া যদি নিয়মিতভাবে ভাড়া পরিশোধ করতে থাকেন এবং বাড়ি ভাড়ার শর্ত মেনে চলেন তাহলে যতদিন ভাড়াটিয়া চাইবেন ততদিন থাকবেন, তাকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এমনকি বাড়ির মালিক পরিবর্তিত হলেও ভাড়াটিয়া যদি আইনসম্মত ভাড়া প্রদানে রাজি থাকেন, তবে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আইন অনুযায়ী, ভাড়ার আগে দু’পক্ষের মধ্যে লিখিত চুক্তি থাকতে হবে।

বাংলাদেশের জনগণ মানবাধিকার সম্পর্কে এখনও সচেতন নয়:মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

বাংলাদেশের অনেক জনগণ মানবাধিকার সম্পর্কে এখনও সচেতন নয় বিধায় তারা নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) ।তিনি বলেন মানবাধিকার মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকার|এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সকল মানুষকে তিনি মানবাধিকার নিশ্চিত করতে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান  ।তিনি আরও বলেন মানবতার পরিপূর্ণ বিকাশে মানবাধিকারের গুরুত্ব অপরিসীম। এ অধিকার রক্ষায় সংবিধানে মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে।  অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই মানবাধিকার নিশ্চিত হবে। দেশের মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনসমূহ মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমাজ এবং রাষ্ট্রের কল্যাণের লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে।তিনি বলেন মানবাধিকার রক্ষায় সকলকে প্রতিবাদী হতে হবে।আমদের সবাইকে ঐক্যবদ্য হয়ে এগিয়ে আসা সহ  মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন  নিজের অধিকার সম্পর্কে সকলকে ভালভাবে জানতে হবে।আমাদেরকে না জানার অজ্ঞতা থেকে  বের হয়ে আসতে হবে।যাতে অধিকার সম্পর্কে না জানার অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কোন সুবিধাবাদীরা মানবাধিকারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করতে পারে।সে ব্যাপারে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।

Tuesday, February 2, 2016

শিক্ষা-খাত যাতে বাণিজ্য-খাতে না পরিনিত হয়: মোঃ আশরাফুল আলম সাগর




ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন,শিক্ষা-খাত যাতে বাণিজ্য-খাতে না পরিনিত হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।তিনি বলেন আমাদের দেশে অনেকেরই একটি ভুল ধারনা রয়েছে।অনেকেই শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের একটি বলে উল্লেখ করে থাকেন।অথচ এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারনা।জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র, ১৯৪৮-এর অনুচ্ছেদ ২৬ অনুসারে শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হলেও বাংলাদেশ সংবিধানে এটিকে 'মৌলিক অধিকার' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।অথচ শিক্ষা একটি জাতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান উপাদান।কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও আমাদের সংবিধানে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য শিক্ষাকে মৌলিক নীতিমালা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে (অনুচ্ছেদ ১৫ ও ১৭)। তবে দ্বিতীয় ভাগে উল্লেখিত অনুচ্ছেদগুলো সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার দিকনির্দেশনা দেয় মাত্র। এগুলো মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত নয়।তিনি আরও বলেন শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান    শিক্ষাখাতকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে।  শিক্ষাদানের সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কখনোই শিক্ষার্থীদের স্বার্থ দেখে না। এরা আসলে শিক্ষা খাতকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে।নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অনুমোদন বিহীন ভবন-কাম্পাস বাড়িয়ে চলছে।এতে শিক্ষার্থীদের শুধু মাত্র পুঁথিগত বিদ্যা দান করায় তারা ভালো রেজাল্ট করতে পারে ঠিকি কিন্তু ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনা। আতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত এধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মালিকরা টাকাকেই প্রধান টার্গেট করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়।তিনি বলেন,আমরা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল নাহিদ কে জানিয়েছি।অভিযোগগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়,নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভবন-কাম্পাস-শাখা বৃদ্ধি।তিনি বলেন,শিক্ষা মন্ত্রী আমদেরকে আশস্থ করেছেন খুব শিগ্রি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এসময়  শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল নাহিদ এর সাথে একান্ত কথোপকথনের সময়ে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)দেশের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকটি বাণিজ্যিক মনোভাব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উথাপন করেন।