Sunday, January 3, 2016

আদালতে মামলার জট মানবাধিকার লঙ্গনের শামিলঃ মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর) ।

আদালতে মামলা জটকে মানবাধিকার লঙ্গনের  শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।তিনি বলেন, বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। সুতরাং বিচারের নামে দিনের পর দিন মামলা রেখে দেওয়াও মানবাধিকার লঙ্গন।এজন্য দ্রুত মামলা নিস্পত্তি করতে বিচার সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে আরও বেশি উদ্যেগী হতে হবে।এক্ষেত্রে মানবাধিকার কর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানালেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।তিনি বলেন মানবাধিকার হচ্ছে গণতন্ত্রের মূল রক্ষাকবচ। আর গণতন্ত্রের মূল পাহারাদার হচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা। গণতন্ত্র যত শক্তিশালী হবে মানবাধিকার তত প্রতিষ্ঠিত হবে।বাংলাদেশের সমস্ত গুম ও অপহরণ আইনের আওতায় এনে ক্রিমিনাল প্রসিজিডিউর কোর্ট অনুযায়ী বিচার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারই হচ্ছে মানবাধিকার।কারো এই অধিকার লঙ্গিত হলে তিনি কোর্টে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। তিনি বলেন কোর্টে অসংখ্য বিচার পড়ে আছে। বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিচার হচ্ছেনা। সাধারণ মানুষ বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীদের উচিত সরকারের কাছে যথা সময়ে বিচার পাওয়ার দাবী তুলা।আমাদের দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্গন করে। সাধারণ অভিযোগে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে অত্যাচার চালানো হচ্ছে।আমাদের দেশে অনেক এনজিও আছে তারা বিদেশীদের টাকা খেয়ে বুদ্ধিজীবী হয়েছে। তারা দেশের গরীব মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। এটা হচ্ছে চরম মানবাধিকার লঙ্গন। এদেরকে চিনে রাখতে হবে এবং তাদের বিরোদ্ধে মানবাধিকার কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে।একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমাদেরকে অনেক সচেতনভাবে চলতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজে স্বচ্ছ থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজরা কখনও মানবাধিকার কর্মী হতে পারেনা।

No comments:

Post a Comment