Saturday, March 26, 2016

বাংলাদেশে ধর্ষণ দূরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে:আশরাফুল আলম (সাগর)



বাংলাদেশে ধর্ষণ একটি দূরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) ।সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।আশরাফুল আলম বলেন বাংলাদেশের নাগরিকরা এখন ধর্ষণকে দেশটির একটি বড় সমস্যা বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, এদেশে ধর্ষণের পরিমান পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধর্ষকরা এখন শুধুমাত্র ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হচ্ছেনা।ধর্ষণের পর হত্যার হলি খেলায় মেতে উঠেছে ধর্ষক নামের নরপশুরা।জীবন কেড়ে নিচ্ছে অনায়াসে।অথচ এক একটি জীবনের পিছনে কতো যে চোখের পানি, কতো যে আশা-সপ্ন থাকে সেটি কি জানে একজন ধর্ষক? ধর্ষণ একটি গুরুতর অপরাধ। আর অপরাধ এক আদিম অসুখ। একে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর তাই একজন ধর্ষকের বিচার শুধুমাত্র মূল লক্ষ্য হতে পারেনা, লক্ষ্য হতে পারে ধর্ষকহীন একটি জাতি গড়া। দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন সচেতন সু-শিক্ষিত একটি জাতির, যারা জীবন ও জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে জানবে।তবেই এর প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর) বলেন ধর্ষণের মত স্পর্শ কাতর বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ না হতে হয়।এদেশে অনেক সময় ধর্ষণের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।এককথায় এদেশের নারীরা এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব এদেশের সকল নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মানবাধিকারের সুরক্ষা বজায় রাখা।

Wednesday, March 23, 2016

মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি:মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর)

মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর) ।
বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আশরাফুল আলম বলেন মানবাধিকার বরাবরই শাসকের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে।এতগুলো বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এদেশে মানবাধিকারের পরিপূর্ণতা এখনো আসেনি।
মানবাধিকার বিষয়টি এখনও এদেশে  মূলত এককেন্দ্রিক ভাবে আঁটকে আছে।যার ব্যাপকতা খুব ছোট পরিসরে রয়ে গেছে।তিনি বলেন,মানবাধিকারের ছোঁয়া এখনো আমাদের দেশে অনেক জায়গায় পৌঁছায়নি।গ্রাম-অঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বসবাসরত অনেকেই এখনো নিজের অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞ।
রাজনীতিবিদ, পুলিশ এবং সমাজবিরোধীদের দ্বারাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন মানবাধিকারের নীতিমালা সব দেশের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে।বাংলাদেশ জাতিসংঘের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।
সেই হিসেবে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর) বলেন মানবাধিকারের আলো সর্বত্ব ছড়িয়ে পড়লেই মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের সুরক্ষা করা সম্ভব
জনগণও ভোগ করতে পারবে তাদের অধিকার।তাই মানবাধিকারের আলোর ছোঁয়া সর্বত্ব পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং ব্যক্তির মৌলিক ও মানবাধিকার ভোগের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে।

Tuesday, March 15, 2016

সবার অধিকার নিয়ে কথা বলা মানবাধিকার কর্মীদের প্রধান দায়িত্ব:মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর)

সবার অধিকার নিয়ে কথা বলাই মানবাধিকার কর্মীদের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম (সাগর)।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।। আশরাফুল আলম বলেন কোন ইন্দনে যেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রভাহিত হয়ে তাদের সঠিক দায়িত্ব থেকে যেন সরে না দাড়ায়।সবার হয়ে সত্যিকারের মানবাধিকারের কথা বলবে মানবাধিকার কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার কর্মীদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়।এ জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরও শক্তিশালী অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি অর্জন করার আহ্বান জানান তিনি। মানবাধিকার কর্মীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের কথা তুলে ধরে মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করতে হবে।


আশরাফুল আলম সাগর বলেন, মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনই হচ্ছে মানবাধিকার ঘোষণার মূল মন্ত্র। মানবাধিকার রক্ষার দ্বায়িত্ব শুধু সরকারের নয়। সমাজের প্রতিটি বিভাগে প্রত্যেকটি মানুষের রয়েছে দ্বায়িত্ব, তার অধিকার বুঝে নেয়ার।একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার বুঝে নেওয়া দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সবসময় প্রতিটি স্থানে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে ।

মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে তার নিজের বাঁচার অধিকার নিয়ে। সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন, দেশের মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজ এবং রাষ্ট্রের কল্যাণের লক্ষ্যে সকল মানবাধিকার কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি ।

Friday, March 11, 2016

সরকারি- বেসরকারি অনেক হাসপাতালে চলছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা:মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর)

ন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন,সরকারি - বেসরকারি অনেক হাসপাতালে সেবার নামে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব কথা বলেছেন তিনি। আশরাফুল আলম বলেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার পরিবর্তে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছেন অনেক চিকিৎসকেরা। রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসাসেবার পরিবর্তে দুর্ব্যবহার করছেন তাঁরা।সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ঠিকমত কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায় না। তাঁরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সাময়িক সময়ের জন্য ‘রাউন্ড’-এর নামে এলেও রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।তিনি আরও বলেন দুঃখজনক হলেও এখনো সত্য সরকারি অনেক হাসপাতালের দেয়ালে এখনো কান পাতলে শোনা যায় চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালে পরে থাকা অসহায় রোগীদের আত্মচিৎকার।তিনি বলেন বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের বেহাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে যেখানে সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশই হাতুড়ে ডাক্তারের কারখানা এবং প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন নেই। অনভিজ্ঞ নার্স, টেকনিশিয়ান ও কথিত ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিন্তু চিকিত্সার নামে তারা আদায় করে নিচ্ছে গলাকাটা ফি। রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে এবং অনেক রোগী সুষ্ঠু চিকিত্সার অভাবে মারা যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এ সব অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দ্রুত উচ্ছেদের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে আর কেউ এমন ঘৃণিত অপরাধ না করতে পারে। সরকার ও প্রশাসনকে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।তিনি বলেন মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে আসে। কিন্তু হাসপাতাল নিজেই যদি অসুস্থ থাকে, তখন তাকে চিকিৎসা সেবা দেবে কে? অনেক হাসপাতাল তো এখন নিজেই অসুস্থ।সরকারী হাসপাতালে রোগীর জন্য সরকারি কিছু ঔষধ থাকলেও এখন তার দেখাই মিলেনা। এখন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেই প্রথমে নার্স এসেই বলে এই ঔষধ গুলো নিয়ে আসেন এখানে এই ঔষধগুলো নেই। আর এভাবেই শুরু হয় চিকিৎসা। অসহায় রোগীদেরকে হাসপাতালের যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হয়। অতিরিক্ত অর্থ দিলেই মেলে রোগী রাখার একটি বেড ।তারপর প্রতি পরতে পরতে চিকিৎসার জন্য ব্যয় করতে হয় অতিরিক্ত টাকা। সরকারি হাসপাতালে আনাগোনা করে অনেক দালালরা।তারাই এসব টাকা লেনদেন করে চিকিৎসা প্রত্যাশীদের সাথে। নির্দিষ্ট সময়ের পর পর একজন নার্স তার দায়িত্বে থাকা রোগীকে দেখা শোনা করবে। কিন্তু বিষয়টি অনেকাংশে সরকারি নিয়মেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে বাস্তবে নয়। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে তাদের পরিচিত মহলের সহযোগিতায় চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন । আর যাদের কেউ নেই তাদের দেখার কেউ নেই।অবহেলায় পরে থাকতে দেখা যায় অসংখ্য রোগীকে।

Friday, March 4, 2016

মানবাধিকার জনগণের জন্য, রাষ্ট্রের নয়: মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর)

মানবাধিকার জনগণের জন্য, রাষ্ট্রের নয়  বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।তিনি বলেন  নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড,স্থায়ী জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌম ক্ষমতা এ চারটি উপাদান নিয়ে রাষ্ট্র গঠিত, আর জনসমাজই হলো রাষ্ট্রের একটি উপাদান।তিনি আরও বলেন  মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন মিলবে।রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগনের মানবাধিকার সুরক্ষা করা।মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে সেটির দায়ভার রাষ্ট্রের উপর বর্তায়।সুশাসন নিশ্চিত করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মানবাধিকার । মানবাধিকার  হচ্ছে  একটি সমাজে সার্বিকভাবে শান্তিময় জীবনযাপনের অধিকার ।আশরাফুল আলম সাগর বলেন,যে কোন দেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে তাদের সংবিধান আইন।এই আইনের মাধ্যমে সব কিছু পরিচালিত হয়।গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানবাংলাদেশ সংবিধানে মোট ১১ টি ভাগের মধ্যে তৃতীয় ভাগে ২৬-৪৭ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকার সম্পর্কে উল্লেখ করা আছে।যা মানবাধিকার রক্ষায় স্বীকৃত অধিকার।তিনি বলেন  বাংলাদেশ সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।  আমাদের সংবিধান কে সমুন্নত রাখতে মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে ‘ সকল সময়ে জনগণের সেবা করবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রেও কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।  সংবিধানে অনেক মৌলিক অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অধিকাংশ নাগরিকের এমনকি অনেক শিক্ষিত নাগরিকেরও এসব অধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই।ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককেই তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আর  অধিকার সম্পর্কে সচেতনতায়  সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা সম্ভব।

Tuesday, March 1, 2016

আদালতের দীর্ঘমেয়াদী বিচার চক্রে মানবাধিকার লঙ্গন হচ্ছে :মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

আদালতের দীর্ঘমেয়াদী বিচার চক্রকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব কথা বলেছেন তিনি।আশরাফুল আলম বলেন, বিচারের জন্য অনেকে আদালতের প্রাঙ্গনে দিনের পর দিন ঘুরছেন। কিন্তু আদালতের দীর্ঘমেয়াদী বিচার চক্রে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে সবাই। এতে একদিকে যেমন হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বিচার প্রত্যাশীরা, অন্যদিকে আদালতের দীর্ঘমেয়াদী বিচার চক্রের মারপ্যাঁচে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা রকম উপায় অবলম্বন করে সাক্ষী ঘুরিয়ে ফেলার অনেকটা সময় পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।তিনি দ্রুত মামলা নিস্পত্তি করতে বিচার সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানবাধিকার হচ্ছে গণতন্ত্রের মূল রক্ষাকবচ। আর গণতন্ত্রের মূল পাহারাদার হচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা। গণতন্ত্র যত শক্তিশালী হবে, মানবাধিকার তত প্রতিষ্ঠিত হবে।বাংলাদেশের সমস্ত গুম ও অপহরণ আইনের আওতায় এনে ক্রিমিনাল প্রসিজিডিউর কোর্ট অনুযায়ী বিচার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারই হচ্ছে মানবাধিকার। কোর্টে অসংখ্য বিচার পড়ে আছে। বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার কর্মীদের উচিত সরকারের কাছে যথা সময়ে বিচার পাওয়ার দাবি করা। এক্ষেত্রে মানবাধিকার কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমাদেরকে অনেক সচেতনভাবে চলতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজে স্বচ্ছ থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজরা কখনও মানবাধিকার কর্মী হতে পারে না।