Tuesday, April 26, 2016

খাদ্য ভেজালের মহা উৎসবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন:মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

“খাদ্যে ভেজাল মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল” বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)|বুধবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,“খাদ্য বাংলাদেশের নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে জনগণের খাদ্য অধিকার লঙ্ঘিত হয়। যার ফলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়।

আশরাফুল আলম আরো বলেন, “মানুষের মোলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য একটি প্রধান ও অন্যতম মৌলিক চাহিদা।সুস্বাস্থ্যের  জন্য প্রতিটি মানুষের  প্রয়োজন ভেজাল মুক্ত খাদ্য গ্রহন। কিন্তু বাংলাদেশে ভেজাল মুক্ত খাবার পাওয়া কঠিন করে ফেলেছে কিছু বিবেকহীন অধিক মুনাফালোভী ব্যাক্তিবর্গ।
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন, “বিশুদ্ধ খাবারকে প্রতিনিয়ত বিষে পরিণত করে ফেলা হচ্ছে। শাকসবজি, মাছ-মাংস থেকে শুরু করে ফলমূল এমনকি শিশুখাদ্য ও ঔষধে ভেজাল ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
,
তিনি বলেন,“বাংলাদেশে ভেজালের যে মহা উৎসব চলছে তাতে সবাই কমবেশী আক্রান্ত।খাদ্যে ভেজালের কারণেই দেশে বিভিন্ন রকমের ক্যানসার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ফেলিউর, হৃদযন্ত্রের অসুখ, হাঁপানি এগুলো অনেক বেড়ে যাচেছ।
 
"ভেজাল পণ্য উৎপাদন কারী ব্যাক্তি বা প্রতিষ্টানের বিরুদ্বে কঠোর আইন প্রয়োগ করে আইনের বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান,ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।"

তিনি বলেন, "শুধু সরকারের একার পক্ষে এটির প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ভেজাল বিরোধী সামাজিক আন্দোলন যেমন দরকার তেমনি দরকার সরকারের আরও কঠিন নীতির বাস্তবায়ন।" 

Saturday, April 16, 2016

হাতিয়ায় নারী নির্যাতন:ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির নিন্দা

“শাহানারাকে মাটিতে ফেলে নির্মম ভাবে পেটানোয় মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন” হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।শনিবার সকালে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এসময়ে তিনি শাহানারাকে নির্যাতনে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন,“ প্রকাশ্যে একজন নারীকে রাস্তার উপর যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা অন্ধকার যুগকেও হার মানিয়েছে।যেভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে তা মানবাধিকারের চরম লংঘন। আর এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি ক্ষোভ জানান।”

আশরাফুল আলম আরো বলেন, “নির্যাতনের দৃশ্যই বলে দেয় মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। আজও নির্যাতিত নারীদের বুক ফাটা আর্তনাদে সভ্য সমাজ কেঁপে ওঠে । শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে অনেক নারী এখনও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । কখনো পাশবিক নির্যাতন আবার কখনো মানসিক । মোটকথা কোন না কোনভাবে নারীকে যেন নির্যাতিত হতেই হচ্ছে।”

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) আরো বলেন, “সভ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার যুগে নারী নির্যাতন যে কত নির্মম অসভ্যতা এবং মানবাধিকারের লংঘন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।”

“চাঁদা না দেয়ায় তিরিশোর্ধ এক নারীকে পেটাল শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি! স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের মীমাংসা করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করেছিল শাহজাহান নামের ওই ব্যক্তি। বিচারপ্রার্থী শাহানারা বেগম (৩২) সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত সোমবার রাস্তায় একা পেয়ে বেদম প্রহার করে সে। এতে শাহানারার শরীরে অনেক স্থান ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে।”

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। শুধু আইন ও নীতিমালাই যথেষ্ট নয়, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রয়োজন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনসহ সমাজ সচেতনতা তৈরিতে নারী-পুরুষ সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।”

Sunday, April 10, 2016

শিক্ষার বাণিজ্যকরণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত :মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

“শিক্ষার বাণিজ্যকরণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে” বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।রবিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,“ শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষাখাতকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে।  শিক্ষাদানের সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনোই শিক্ষার্থীদের স্বার্থ দেখে না। এরা আসলে শিক্ষা খাতকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।”

আশরাফুল আলম আরো বলেন, “নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অনুমোদনবিহীন ভবন-কাম্পাস বাড়িয়ে চলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা দান করায় তারা ভালো রেজাল্ট করতে পারে ঠিক, কিন্তু ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনা। আতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত এ ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।”

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) আরো বলেন, “এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মালিকরা টাকাকেই প্রধান টার্গেট করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়।”
তিনি বলেন,“আমরা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবকে জানিয়েছি। অভিযোগগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির ছিল, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভবন-কাম্পাস-শাখা বৃদ্ধি। তিনি বলেন, তারা আমদেরকে আশস্থ করেছেন খুব শিগ্রি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।”

এসময় শিক্ষা বিষয়ে একান্ত কথোপকথনের সময়ে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) দেশের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকটি বাণিজ্যিক মনোভাব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উথাপন করেন।

Monday, April 4, 2016

বাংলাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা,লঙ্ঘিত মানবাধিকার:মোঃ আশরাফুল আলম(সাগর)

জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সাগর। সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, “নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। ঝরে গেছে অনেক তাজা প্রাণ। নির্বাচনে লাশের পরে লাশ পড়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবারে কান্নার রোল পড়ে গেছে। যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।”

আশরাফুল আলম আরো বলেন, “১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত মৃত্যের সংখ্যা ৩৮। এর মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে রয়েছে মহিলা, নির্বাচনের প্রার্থী, এজেন্ট, কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সহিংসতায় মারা গেছে শিশু সাহিদুল ইসলাম শুভসহ অন্তত ১১ জন।”

তিনি বলেন, “এর আগে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত মারা গেছে আরো ২৭ জন। এর মধ্যে ২২ মার্চ প্রথম দফা নির্বাচনের দিনই সহিংসতায় প্রাণহানি ঘটে ১২ জনের। প্রথম দফায় ৩৬ জেলার সাতশো ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মাত্র চার জেলায় সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। বাকি ৩২ জেলাতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।”

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, “বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। নির্বাচনী সহিংসতায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া মানে মানবাধিকার লঙ্ঘনকে প্রশ্রয় দেয়া। এর দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্রের ওপর বর্তায়।”

মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারকে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করতে তিনি আহ্বান জানান।