Tuesday, June 28, 2016

শিশু রহিতের উপর পুলিশ কর্মকর্তার অমানবিক নির্যাতনে মানবাধিকার লঙ্ঘন:মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

"শিশু রহিতের বুকে বুট জুতা দিয়ে পাড়িয়ে অমানবিক নির্যাতনে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন" হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)|মঙ্গলবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন,“শিশু রহিতকে ৮ জুন রাতে যশোর কোতয়ালী থানায় রেখে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা অন্ধকার যুগকেও হার মানিয়েছে।আর তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা মানবাধিকারের চরম লংঘন। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রচণ্ড ক্ষোভ জানান।”
আশরাফুল আলম আরো বলেন, “দশম শ্রেণি পড়ুয়া শিশু রহিতের উপর নির্যাতনের দৃশ্যই বলে দেয় মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। আজও নির্যাতিত মানুষের বুক ফাটা আর্তনাদে সভ্য সমাজ কেঁপে ওঠে । নির্বিশেষে অনেকে এখনও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । কখনো পাশবিক নির্যাতন আবার কখনো মানসিক । মোটকথা কোন না কোনভাবে যেন নির্যাতিত হতেই হচ্ছে।”
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) আরো বলেন, “সভ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার যুগে শিশু নির্যাতন যে কত নির্মম অসভ্যতা এবং মানবাধিকারের লংঘন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে পুলিশ এই ন্যাকারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে অচিরেই তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।অন্যথায় এতে পুলিশের ভাবমূর্তি খুন্ন হচ্ছে।”


 
"৮ জুন রাতে যশোর কোতয়ালী থানায় রেখে রোহিতের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। পুলিশি নির্যাতনের চিহ্ন তার সারা শরীরে।রোহিতের মা জুলি বেগম বলেন, এসআই বিপ্লব আমার ছেলে রোহিতকে যেদিন ধরে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালান, সেদিন সে রোজা ছিল। কিন্তু নির্দয় পুলিশের তাতেও মন গলেনি। রোহিতকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে পুলিশ মোটা টাকা ঘুষ দাবি করে। পরের দিন ৯ জুন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ায় রোহিতকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।যার অডিও রেকর্ডিং তাদের কাছে আছে।"
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, “শিশু নির্যাতনে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। শুধু আইন ও নীতিমালাই যথেষ্ট নয়, শিশু নির্যাতন রোধে প্রয়োজন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনসহ সমাজ সচেতনতা তৈরিতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।”

Sunday, June 19, 2016

সন্তানের প্রতি লঙ্ঘিত মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান:মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

অনেক বাবা-মা সন্তানদের শাসনের নামে যে নির্যাতন করছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সন্তানদের মানসিক অবস্থা নিয়ে ভাববার সময় নেই অনেক বাবা-মায়ের, বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সাগর। আজ রোববার, ১৯ জুন সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বাবা-মা দ্বারা অসংখ্য শিশু নির্যাতনের ঘটনা আসছে আমদের কাছে। শারীরিক ও মানসিক দু'ভাবেই শিশুকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু শিশু নির্যাতনের ঘটনা রীতিমতো গণমাধ্যমেও আলোচিত হচ্ছে। যা সারা দেশব্যাপী অনেক সময় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি করছে।

মানবাধিকার সংগঠক আশরাফুল আলম বলেন, ইদানীং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিশু নির্যাতনের একটি নতুন ধাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভর্তিপরীক্ষা ও তার প্রস্তুতি শিশু নির্যাতনের অত্যাধুনিক অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। শিশুদের বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যক্রম শিশুদের জন্য এক দুঃসহ কর্মতালিকা। শিশুকে ঘিরে মা-বাবার যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, তাতে রসদ জোগাচ্ছে। শিশুদের যেনো ভালো রেজাল্ট করতেই হবে, এই নিয়ে চলে শিশুদের ওপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ, এমনকি শারীরিক নির্যাতন। এক কথায় বলা যায়, বর্তমানে শিশুদের ওপর শিক্ষার নামে চলছে নীরব নির্যাতন।

তিনি বলেন, বাবা-মায়েরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনোভাব পোষন করে একটি শিশুকে যেভাবে শাসন করছে, তাতে শিশুটির যে অপূরণীয় ক্ষতি করছেন, তা অনুধাবণ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, শিশুর মানসিক অবস্থা নিয়ে ভাববার সময়ও যেন বাবা-মা'র নেই। চোখ তাদের এতটাই সামনের দিকে যে, নিজের পায়ে হোঁচট খাওয়ার মতো কোনো কিছু রাস্তায় পড়ে আছে কি না, তার দেখার মতো সময় তাদের নেই।

বাবা-মায়েরা সন্তানদের শাসনের নামে যে নির্যাতন করছে, তা বন্ধে সচেতনতাসহ একযোগে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানালেন, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সাগর।

Saturday, June 11, 2016

ঘুষ প্রতিরোধে ঘুষ নিয়োগ বাণিজ্য সর্বপ্রথম বন্ধ করতে হবে:মোঃ আশরাফুল আলম সাগর

“ঘুষ প্রতিরোধে ঘুষ নিয়োগ বাণিজ্য সর্বপ্রথম বন্ধ করতে হবে” বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)|শনিবার (৪ জুন) সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।”

তিনি বলেন,“ এদেশে ঘুষ নিয়োগ বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট (গোপন বলে ভাবা হলেও আসলে যা সকলেরই জানা) একটি বিষয়।নিয়োগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন পদ অনুযায়ী ঘুষের অংকের পরিমাণ নির্ধারণ করা।ফলে ঘটতে থাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা”

মানবাধিকার সংগঠক আশরাফুল আলম বলেন,“এই ঘুষ নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য অনেক যোগ্য ব্যাক্তিরা চাকুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।ফলে অযোগ্য ব্যাক্তিরা এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন,“চাকুরী নিয়োগের শুরু থেকেই নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তি ঘুষ বিনিময়ের সাথে জড়িয়ে পড়েন।অনেক ব্যাক্তি তাদের পৈতৃক শেষ সম্পদ পর্যন্ত বিক্রি করা সহ অনেক কষ্টে ধারদেনা করে ঘুষের টাকা জোগাড় করে চাকুরী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদান করে।পরবর্তীতে ওই ব্যাক্তি সাধারনতভাবে নিয়োগের শুরুতে তার দেওয়া ঘুষের টাকা নিয়োগ পাওয়ার পরে ওঠাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।”

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃআশরাফুল আলম (সাগর) বলেন,“ ফলে যার প্রভাব পড়ে সাধারণ জনগণের উপর।তার দেওয়া ঘুষের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সে মহিয়া হয়ে ওঠে। আর তখনি ঘটে সকল বিপত্তি। অবৈধ টাকার জন্য তারা অনেক কিছু করে বসে।এমনকি অনেক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যাক্তি তাদের অপকর্মের জন্য রীতিমতো গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়ে উঠে।

মানবাধিকার সংগঠক আশরাফুল আলম বলেন,“আসল কথা হলো নিয়োগের ক্ষেত্রে জনগনের কোথাও কোন টাকার লেনদেনের কথা নেই। নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনটাই অবৈধ। একটি পয়সাও না।কিন্তু বিষয়টি যেন এখন পুরোই উল্টো টাকা না দেওয়াটায় যেন এখন অবৈধ।”

“এসময়ে, এদেশে জনগনের মধ্যে দেশপ্রেম-ভালোবাসা সমৃদ্ধ জীবন গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই ঘুষ নিয়োগ বাণিজ্য নামের ওপেন সিক্রেট বিষয়টিকে চিরতরে অপসারণ করার কথা বললেন,ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।”

Wednesday, June 1, 2016

যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে সেখানেই প্রতিবাদ:মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসাই পরিপূর্ণ মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম (সাগর) |
তিনি বলেন, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৩০টি অনুচ্ছেদে মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা, মানুষের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার ঘোষণা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন।
মানবাধিকার সংগঠক আশরাফুল আলম বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশে মানবাধিকারকে আইন দ্বারা স্বীকৃতি দান করা হলেও বর্তমান বিশ্বে সম্পদ ও মতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হারে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কখনো রাজনৈতিক, কখনো সাম্প্রদায়িক, কখনো গোষ্ঠী অথবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক ঘটছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের দায়িত্বের প্রতি সচেতন হই, তবেই তৈরি হবে একটি সুষম বিশ্ব। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে সেখানেই আমাদের প্রতিবাদী হয়ে উঠতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ‘মানবাধিকার’ সম্পর্কে অবগত নন। অধিকাংশ লোক ‘মানবাধিকার’ সম্পর্কে শুনেছেন, তবে এর ব্যাখ্যা জানেন না। সিংহভাগ লোক জানেন না যে মানবাধিকার আইন দ্বারা সুরক্ষিত। খুবই সামান্যসংখ্যক মানুষ জানেন, মানবাধিকারের বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত।
এ সময়ে, সুখী-সমৃদ্ধ-শান্তিকামী সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সবার আগে মানবাধিকার নিশ্চিত  করার প্রতি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান আশরাফুল আলম (সাগর)।