“যৌতুকের
টাকা না দেওয়ায় আতিয়াকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম ও বর্বর পাশবিক
নির্যাতনে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন” হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির
চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।
সোমবার
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি থেকে
পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময়ে তিনি আতিয়াকে
নির্যাতনে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তিনি
বলেন, প্রকাশ্যে একজন নারীকে গাছের সাথে বেঁধে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে,
তা অন্ধকার যুগকেও হার মানিয়েছে। যেভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে তা
মানবাধিকারের চরম লংঘন। আর এ ঘটনায় প্রথমাবস্থায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি
ক্ষোভ জানান।
আশরাফুল
আলম আরো বলেন, নির্যাতনের দৃশ্যই বলে দেয় মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের
এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। আজও নির্যাতিত নারীদের বুক ফাটা আর্তনাদে সভ্য
সমাজ কেঁপে ওঠে। শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে অনেক নারী এখনও নির্যাতনের
শিকার হচ্ছে। কখনো পাশবিক নির্যাতন আবার কখনো মানসিক। মোটকথা কোন না
কোনভাবে নারীকে যেন নির্যাতিত হতেই হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ
আশরাফুল আলম (সাগর) আরো বলেন, “সভ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার যুগে নারী
নির্যাতন যে কত নির্মম অসভ্যতা এবং মানবাধিকারের লংঘন তা বলার অপেক্ষা রাখে
না।”
গাইবান্ধায়
এক অক্ষম পিতা যৌতুকের ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় শনিবার গাছের সঙ্গে
বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে গৃহবধূ আতিয়াকে। এ ব্যাপারে পুলিশকে
বিষয়টি অবগত করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে হুঁশিয়ারি করে দেওয়া হয়েছে।
নির্মম
ও বর্বর ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার মধ্য ফলিয়া গ্রামে। স্বামী ফারুক তার
দেবর ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আতিয়াকে গাছের সাথে বেধে নির্মম ভাবে বেধরক
পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। এসময় স্থানীয় ব্যাক্তিরা এসে আতিয়াকে উদ্ধার করে।”
ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আরো
বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। শুধু আইন ও
নীতিমালাই যথেষ্ট নয়, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রয়োজন সামাজিক
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনসহ সমাজ সচেতনতা তৈরিতে
নারী-পুরুষ সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।