ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান
মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন এখন ৫ বছরের বাচ্চাও জানে ধর্ষণ কি? । আর এর
জন্য তিনি দায়ী করেছেন ইন্টারনেটের অপব্যবহার এবং আইনের শাসনের
ঘাটতিকে।তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে কোন মামলা প্রদান করলে মামলার
দীর্ঘসূত্রিতায়, ‘রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে
কিংবা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে আসামীরা ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন ধরে আসামী ধরা
না পড়ার কারণে দেখা যায় মামলাগুলো হারিয়ে যায়’।শিশু ধর্ষণের এ ধরনের মামলা
নিষ্পত্তিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা ও
জবাবদিহিতাসহ ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলেন
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান
মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) । এজন্য সরকারকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান
জানান
তিনি।তিনি আরও বলেন এক শ্রেণীর ধর্ষক আছে আমাদের সমাজে। এরা বিভিন্ন
প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা
নারীর শরীরে হাত বুলিয়ে বেড়ায়। এরা নারীকে শারীরিকভাবে ধর্ষণ করেনা কিন্তু
নারীর শরীরে এমনভাবে চোখ বুলিয়ে যায় যেন সে চোখ দিয়েই নারীকে ধর্ষণ করছে।
এরাই সমাজে সবচেয়ে ভয়ংকর।ধর্ষণ সকল সমাজেই ঘৃণ্য এবং অগ্রহণযোগ্য ঘটনা।
আশ্চর্যের
বিষয় এই যে শিশুদের বাড়ন্ত বয়স থেকেই আত্মীয় স্বজন, চাচা, মামা, খালু এবং
বাবা দ্বারা যৌন নির্যাতনের অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে।
শিশু অধিকার বিষয়ক অনেক সংগঠনের কর্মীদের ভাষ্যমতে, দেশটির শতকরা নব্বই ভাগ শিশুই পারিবারিক
গণ্ডিতে ধর্ষণ থেকে শুরু করে অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক স্পর্শসহ নানা যৌন
নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে | শিশু ধর্ষণের ঘটনা
বেড়েছে।ধর্ষণের শিকার হচ্ছে ছেলে শিশুরাও। পুলিশের ধারণা শিশুরা একশ্রেণীর
মানুষের যৌন বিকৃতির টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করি যারা এই সকল ঘৃণ্য এবং অগ্রহণযোগ্য কাজ করেন
তাদের আপনি শুভ বুদ্ধি দান করুন।
No comments:
Post a Comment