মানবাধিকার জনগণের জন্য, রাষ্ট্রের নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম
রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।তিনি বলেন
নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড,স্থায়ী জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌম ক্ষমতা এ চারটি উপাদান নিয়ে রাষ্ট্র গঠিত, আর জনসমাজই হলো রাষ্ট্রের একটি উপাদান।তিনি আরও বলেন মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন মিলবে।রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগনের মানবাধিকার সুরক্ষা করা।মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে সেটির দায়ভার রাষ্ট্রের উপর বর্তায়।সুশাসন নিশ্চিত করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে
মানবাধিকার । মানবাধিকার হচ্ছে
একটি সমাজে সার্বিকভাবে শান্তিময় জীবনযাপনের অধিকার ।আশরাফুল আলম সাগর বলেন,যে কোন দেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে তাদের সংবিধান আইন।এই আইনের মাধ্যমে সব কিছু পরিচালিত হয়।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান ।বাংলাদেশ সংবিধানে মোট ১১ টি ভাগের মধ্যে তৃতীয় ভাগে ২৬-৪৭ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকার সম্পর্কে উল্লেখ করা আছে।যা মানবাধিকার রক্ষায় স্বীকৃত অধিকার।তিনি বলেন বাংলাদেশ সংবিধানের ১১
অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক
মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের
প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে। আমাদের সংবিধান কে সমুন্নত
রাখতে মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে ‘ সকল সময়ে জনগণের সেবা করবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রেও কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।
সংবিধানে অনেক মৌলিক অধিকার
অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অধিকাংশ নাগরিকের এমনকি অনেক
শিক্ষিত নাগরিকেরও এসব অধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই।ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম
রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককেই
তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আর অধিকার সম্পর্কে সচেতনতায় সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment