Sunday, December 27, 2015

যৌন নিপীড়ন নিয়ে দুটি কথাঃমোঃ আশরাফুল আলম(সাগর)।

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন এখানেই সমস্যা" যৌন নিপীড়ন বলতে আইনে কী আছে তা জানেন না অনেকেই৷ তারা মনে করেন নারী ধর্ষিত না হলে যৌন নিপীড়ন হয় না৷” তিনি বলেন, ‘‘২০০৩ সালের আইনে উল্লেখ করা আছে কোন অসত্‍ উদ্দেশ্যে নারীর যে-কোনো অঙ্গ স্পর্শ করাই যৌন নিপীড়ন৷
এমনকি নারীর পোশাক ধরে টান দেয়া, ধাক্কা দেয়া এগুলোও যৌন নিপীড়ন৷


ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস, শিল্প কারখানা এমনকি পথেঘাটে, মার্কেটে যৌন নিপীড়নের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে৷ কিন্তু আইন না জানায় আমরা অনেকই তাকে যৌন নিপীড়ন বলছি না৷”
বাংলাদেশে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে একটি নির্দেশনা দেয়৷ আর তাতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেসব প্রতিষ্ঠানে নারী রয়েছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে একজন নারীর নেতৃত্বে যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটি থাকতে হবে৷ আর কমিটির মোট সদস্যদের মধ্যে নারীদের প্রাধান্য থাকতে হবে৷ একটা বাক্সে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে৷
নির্দিষ্ট সময় পর ওই বাক্স খুলে যদি কোনো অভিযোগ পান তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে কমিটি৷ আর তদন্তে গোপনীয়তা রাখতে হবে৷ কেউ চাইলে সরাসরিও কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন৷
কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে জানান ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।
তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল এবং কলেজে অনেক যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ পায় না৷ স্কুল কলেজের গভর্নিং বডি ধামাচাপা দেয়৷ আর কেউ অভিযোগ করলে অনেক সময়ই উলটো হেনস্তা হতে হয় । ঢাকা কেন, বাংলাদেশের কোনো স্কুল কলেজেই যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি নেই৷ এটা হওয়া প্রয়োজন৷ আর এর সঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা প্রয়োজন জেন্ডার নীতিমালা৷”

No comments:

Post a Comment